কাল থেকে মাঠে গড়াচ্ছে ফিফা বিশ্বকাপ ফুটবল। প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হওয়া এই আসরকে বলা হয় ‘গ্রেটেস্ট শো অন দ্য আর্থ’। আর এই আসরকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুরে শুরু হয় উন্মাদনা, এতে পিছিয়ে নেই বাংলাদেশও। এই আনন্দ-উচ্ছ্বাস আর হইচই সবচেয়ে বেশি দেখা যায় দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে।
এর ব্যতিক্রম নয় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। সারাদেশের মতো জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে চলছে ভক্তদের ফুটবল উন্মাদনা। গোটা ক্যাম্পাস জুড়ে চলছে ফুটবল আমেজ। যেনো বিশ্বকাপ জ্বরে কাঁপছে জাবি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রধান ফটকে আসলেই দেখা মিলবে সমর্থকদের সাঁটানো ব্রাজিল-আর্জেন্টিনার বড় বড় দুটি পতাকা। এই দুই দেশের পতাকার মাঝে রয়েছে বাংলাদেশের পতাকাও। শুধু এমএইচ হল নয় বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রায় সবগুলোর হলের চিত্র মোটামুটি একই। ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা সমর্থকদের পতাকায় ছেয়ে গেছে হলগুলো।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বাংলাদেশের অন্যান্য জায়গার মতো জাবিতেও বেশিরভাগ সমর্থক ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা এই দুই শিবিরে বিভক্ত। তবে জার্মানি, ফ্রান্স, পর্তুগালের মতো দেশেরও সমর্থক একেবারে কম নয়। আসন্ন বিশ্বকাপ ফুটবলকে স্বাগত জানাতে প্রায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে ফেলেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোর শিক্ষার্থীরা। প্রতিটি হলেই চলছে পতাকা টাঙানোর হিড়িক। কে কার আগে পতাকা টাঙাবে এ নিয়ে চলছে প্রতিযোগিতা।
নিজের দলের প্রচারণার জন্য সমর্থকরা নানা কর্মসূচিও হাতে নিয়েছেন। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে ফ্যান পেইজ খোলা ও নিজের একাউন্টে প্রিয় দলের খেলোয়াড়ের ছবি পোস্ট করা ইত্যাদি। হলগুলোতে দেওয়া হচ্ছে ব্রাজিল ও আর্জেন্টিনা সমর্থকগোষ্ঠীর পাল্টাপাল্টি কমিটি। এছাড়াও বিভিন্ন ডিপার্টমেন্ট ও ব্যাচভিত্তিকও দেওয়া হচ্ছে আলাদা আলাদা কমিটি।
এছাড়াও ক্যাম্পাসে বিভিন্ন অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করছে বিভিন্ন দলের সমর্থকরা। ১১ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-বেরুনী হলের আর্জেন্টিনার সমর্থকরা আয়োজন করে এক প্রীতিভোজ ও সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার। এতে নেচে গেয়ে আনন্দে মেতে ওঠেন আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের হল গুলোর করিডর, টিভি রুম, ক্লাসরুম কিংবা চায়ের আড্ডায় চলে প্রিয় দলের পক্ষে বাকযুদ্ধ। নিজ দলকে শ্রেষ্ঠ প্রমাণে চলে তর্ক-বিতর্ক।
তবে সমর্থন করাকে কেন্দ্র করে যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটে সেজন্য শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
Array