ওয়ার্ল্ডোমিটারের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সর্বশেষ তথ্য বলছে, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ ধরিত্রির জনসংখ্যা দাঁড়ায় ৮০০ কোটি ২৮ হাজার জনে।
বিষয়টিকে অন্যন্য মাইলস্টোন স্পর্শ আখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল টুইট করেছে, ‘৮০০ কোটি আশা, ৮০০ কোটি স্বপ্ন, ৮০০ কোটি সম্ভাবনা। আমাদের গ্রহ এখন ৮০০ কোটি মানুষের আবাসস্থল।’
৮০০ কোটিতম শিশু
জানা যাচ্ছে, ৮০০ কোটিতম শিশুর জন্ম ফিলিপাইনে। দেশটির রাজধানী ম্যানিলার তোন্দো শহরে মঙ্গলবার জন্ম নেয় এক কন্যাশিশু। বিশ্বের ৮০০ কোটিতম মানুষ (প্রতীকী) হিসেবে ধরা হচ্ছে। শিশুটির নাম রাখা হয়েছে ভিনিস মাবাসাং।
এনডিটিভি জানিয়েছে, ম্যানিলার ডক্টর জোস ফাবেলা মেমোরিয়াল নামক হাসপাতালে স্থানীয় সময় রাত ১টা ৩০ মিনিটে ভিনিস মাবাসাংয়ের জন্ম হয়। ফিলিপাইনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশন শিশুটিকে ৮০০ কোটিতম শিশু হিসেবে ঘোষণা করে তার জন্ম উদযাপন করে।
ফেসবুক, টুইটারে শিশু ও তার মায়ের ছবি প্রকাশ করে ফিলিপাইনের জনসংখ্যা ও উন্নয়ন কমিশন ।
ফেসবুকে কমিশনটি লিখেছে, ‘ম্যানিলার তোন্দোতে একটি মেয়ে শিশুর জন্মের মাধ্যমে জনসংখ্যার আরেকটি মাইলস্টোনে পৌঁছেছে বিশ্ব। বিশ্বের ৮০০ কোটিতম মানুষের প্রতীকী শহর হিসেবে ম্যানিলাকে বেঁছে নেওয়া হয়েছে। ১৫ নভেম্বর ডক্টর জোস ফাবেলা মেমোরিয়াল হাসপাতালে কমিশনের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে নার্সরা শিশু ভিনিসকে বরণ করে নেয়।’
৭০০ কোটির মাইলফলক স্পর্শ করার মাত্র ১১ বছর পর বিশ্বের জনসংখ্যা ৮০০ কোটিতে পৌঁছাল।
এ তথ্য দিয়ে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের জনসংখ্যা হবে ৮৫০ কোটি এবং ২০৫০ সালে পৌঁছাবে ৯৭০ কোটিতে। ২০৮০ সালে এই জনসংখ্যা এক হাজার কোটির মাইলফলক অতিক্রম করবে।
জাতিসংঘের এক পরিসংখ্যানের বরাতে বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের ২০২২ সালের জনসংখ্যা বিষয়ক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পৃথিবীর পরবর্তী ১০০ কোটি মানুষের বেশিরভাগের জন্ম হবে আটটি দেশে। সেগুলো হলো- কঙ্গো, মিসর, ইথিওপিয়া, ভারত, নাইজেরিয়া, পাকিস্তান, ফিলিপাইন ও তানজানিয়া।
Array