একরকম হঠাৎ করেই বিশ্বের জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার কিনে নিয়েছেন শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক। এরপর থেকেই এই মাধ্যমটি নানাভাবে উঠে এসেছে আলোচনায়, হয়েছে সমালোচিতও। এবার এক হাস্যরসের জন্ম দিয়েছে টুইটার।
হঠাতই এক আইডি ও সেই আইডির ব্লু ব্যাজ পাওয়া নিয়ে আলোচনায় মেতেছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা। আলোচনার কারণ ভুয়া এই আইডি খোলা হয়েছে “যিশু খ্রিস্টের” নামে। আর রাতারাতি সেটি ভেরিফাইডও হয়ে গেছে!
টুইটারে ঢুকে যিশু খ্রিস্টের নামে ওই আইডিতে ব্লু ব্যাজ দেখা যায়। এটি থেকে শেষ করা পোস্টে এই আইডিটি ভুয়া বলে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবরের ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছে। ক্যাপশনে লেখা হয়েছে, “আমি ভুয়া, এটি ভাবার কারণ কী?”
সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে, টুইটারে ব্লু টিক থাকা অ্যাকাউন্টের জন্য মাসে আট ডলার করে পরিষেবা মাশুল চাপিয়েছেন ইলন মাস্ক। এখন ভেরিফায়েড অ্যাকাউন্টের ব্যবহার চালিয়ে যেতে হলে বাড়তি গাঁটের কড়ি খরচ করতে হবে পাবলিক ফিগার, সাংবাদিক, সংস্থাদের।
ইলন মাস্কের এই নতুন নিয়ম থেকেই তুঙ্গে বিতর্ক। আর সেই সঙ্গেই হঠাতই বেড়েছে এমন ভুয়া অ্যাকাউন্টের সংখ্যা।
যিশু খ্রিস্টের ভুয়া আইডিতে প্রায় ৮ লক্ষের কাছাকাছি অনুসারী রয়েছে।
এদিকে সম্প্রতি এসব ভুয়া আইডির বিষয়ে সতর্ক করে ইলন মাস্ক বলেছেন, “আগামী দিনে কোনও টুইটার হ্যান্ডেল যদি অন্য কারও ভেক ধারণ করে, সেক্ষেত্রে স্পষ্ট করে উল্লেখ করতে হবে যে সেটি একটি ‘প্যারোডি’ অ্যাকাউন্ট। নয় তো সেই টুইটার হ্যান্ডেল পাকাপাকিভাবে নিষিদ্ধ করে দেওয়া হবে।”
মাস্কের এই টুইট শেয়ার করে ভেরিফায়েড যিশু খ্রিস্ট লিখেন, “স্পয়লার অ্যালার্ট! এটি একটি প্যারোডি।”
এদিকে বিতর্ক যখন তুঙ্গে, তখন প্রশ্ন উঠেছে ব্লু টিক রাখতে ইলন মাস্ক যে আট ডলার দাবি করেছেন সেটি কে দেবে?
ভেরিফায়েড যিশু খ্রিস্টের আইডিতে এক ব্যক্তি মন্তব্যের ঘরে প্রশ্ন করে বলেন, “আমি জানতে চাই কোন ক্রেডিট কোম্পানি আপনাকে কার্ড দিয়েছে! আমি এটা চাই।”
আরেক ব্যক্তি বলেন, “আসল যিশুকে তার নীল ব্যাজ কিনতে হয়নি। বিনামূল্যেই হয়তো পেয়েছেন তিনি।”
তবে বিষয় যা ই হোক। ভেরিফায়েড যিশু খ্রিস্ট টুইটারের এক বিনোদনের মাধ্যম হয়ে উঠেছেন।
Array