আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) মিশন জানিয়েছে, তাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী আগামী তিন মাসের মধ্যে ঋণ প্রস্তাবের সব আনুষ্ঠানিকতা ও তাদের পর্ষদে চূড়ান্ত অনুমোদন হবে। ঋণ মোট সাত কিস্তিতে পাওয়া যাবে। আগামী ফেব্রুয়ারি নাগাদ আইএমএফ প্রথম কিস্তি প্রায় ৪৬ কোটি ডলার ছাড় করবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয় আশা করছে। বাকি ঋণ প্রতি ছয় মাস পরপর ছয়টি সমান কিস্তিতে (প্রতি কিস্তি প্রায় ৬৮ কোটি ডলার) ২০২৬ সালের ডিসেম্বরের মধ্যে পাওয়া যাবে।
অর্থ মন্ত্রণলায় আজ বুধবার এ তথ্য জানিয়েছে।
অর্থ মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সুদের হার আইএমএফের নিজস্ব মুদ্রা স্পেশাল ড্রয়িং রাইটসের (এসডিআর) ভাসমান বা উম্মুক্ত হারের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে। তবে সব মিলিয়ে সুদের গড় হার হতে পারে ২ দশমিক ২ শতাংশ। মোট ঋণের উপর গড় সুদের হার হবে ২ দশমিক ২ শতাংশ।
এক্সটেন্ডেড ক্রেডিট ফ্যাসিলিঠি বা ইসিএফের প্রায় ১০৭ কোটি ডলার ঋণ হবে সুদমুক্ত। এক্সটেন্ডেড ফান্ড ফ্যাসিলিটি বা ইইএফের সুদহার হাবে ভাসমান (ফ্লোটিং) এসডিআরের সঙ্গে ১ শতাংশ। অন্যদিকে রেজিলিয়েন্স ট্রাস্ট ফ্যাসিলিটি বা আরসিএফের ১০০ কোটি ডলার ঋণের সুদহার হবে এসডিআর রেটের সঙ্গে শুন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ যোগ করে যা দাঁড়ায়।
অর্থনৈতিক খাতে বেশ কিছু সংস্কারের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ দিতে সম্মত হয়েছে আইএমএফ। আজ বুধবার বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফের প্রতিনিধি দলের মধ্যে এ সংক্রান্ত চূড়ান্ত আলোচনা শেষ হয়েছে।
Array