গাইবান্ধা উপনির্বাচনে অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেও এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও সাত থেকে দশদিন সময় চান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
তিনি বলেন, ‘বন্ধ হওয়া ৫১টি কেন্দ্রের প্রতিবেদন পেয়েছেন। আরও ৯৪টি কেন্দ্রের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কমিটিকে পর্যবেক্ষণ দিতে বলা হয়েছে। সিসি ক্যামেরা দেখে এই প্রতিবেদন তৈরি করা হবে।’
শনিবার (৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন সিইসি। ফরিদপুর-২ আসনের উপনির্বাচন সিসি ক্যামেরায় পর্যবেক্ষণকালে সাংবাদিকদের সঙ্গে তিনি কথা বলেন। এ সময় অন্য নির্বাচন কমিশনাররাও তার সঙ্গে ছিলেন।
ফরিদপুরের নির্বাচন নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘খুবই শান্তিপূর্ণভাবে ফরিদপুর উপনির্বাচন হচ্ছে। তবে ভোটার উপস্থিতি তুলনামূলক কম দেখা যাচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, তদন্ত প্রতিবেদন পুরোটা শেষ করে গাইবান্ধা উপনির্বাচনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে আরও ৭-১০ দিন সময় লাগবে। ৫১টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদন তারা পেয়েছেন। বাকি ৯৪টি কেন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনও এক সপ্তাহের মধ্যে করতে বলা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট তারা দেখেছেন।
সিইসি বলেন, ‘তদন্ত কমিটি সিসি টিভির ফুটেজে দেখে একটা পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদন ইসির কাছে দেবে। এ জন্যে এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয়েছে। আগের কমিটি সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট দিলে পুরো গাইবান্ধার নির্বাচনের ওপরে সমন্বিত সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে সিইসি বলেন, ‘একটু অপেক্ষা করতে হবে। ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগবে। খণ্ডিত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে, পুরোটার তদন্ত প্রতিবেদন দরকার।’
Array