জীবনের মূল একটি লক্ষ্য থাকা চাই, কাবা শরিফ জিয়ারাত করার। কারো সামর্থ্য দূর্বল হলেও রবের ভান্ডার অপরিসীম। তাই যতদিন যাওয়ার ব্যবস্থা না হয় ততদিন কাবা শরিফ যাওয়ার নিয়ত থাকার কারনে সাওয়াব পাওয়া যাবে বোনাস। হজ ও ওমরা করায় রয়েছে গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত ও মর্যাদা। সেসব ফজিলত ও মর্যাদা কী?
সামর্থবানদের ওপর হজ ও ওমরা করা আল্লাহর নির্দেশ। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আল্লাহর উদ্দেশে হজ ও ওমরাহ পরিপূর্ণভাবে পালন করো।’ (সুরা বাকারা : আয়াত ১৯৬)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন, তোমরা হজ ও ওমরাকে পাশাপাশি আদায় করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন ও গোনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (নাসাঈ ৩৬১০)
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘এক ওমরাহ থেকে পরবর্তী ওমরাহ পর্যন্ত মাঝখানের গোনাহগুলোর জন্য কাফফারা স্বরূপ।’ (বুখারি ১৬৮৩, মুসলিম ৩৩৫৫)
ওমরা অভাব অনটন দূর করে দেয়। গুনাহ থেকে মুক্তি দেয়। হাদিসের অন্য বর্ণনায় এসেছে, হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরাহ আদায় করো। কেননা, হজ ও ওমরাহ দারিদ্র্য বিমোচন ও গুনাহ দূর করে দেয় ঠিক সেভাবে, যেভাবে হাঁপরের আগুন লোহা, সোনা ও রুপা থেকে ময়লা দূর করে দেয়।’ (তিরমিজি ৮১০)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহু আরও বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘তোমরা হজ ও ওমরা একটার পর অপরটা কর; কারণ হজ ও ওমরা ঐভাবে অভাব ও গুনাহ দূর করে দেয় যেভাবে কামারের হাপর লোহা, সোনা ও রূপার মরিচা (জং) দূর করে। আর হজ কবুল হলে তার একমাত্র প্রতিদান জান্নাত। (তিরমিজি, মুসনাদে আহমদ)
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হজ ও ওমরা করার তাওফিক দান করুন। হজ ও ওমরার ফজিলত পাওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Array