সোনাতলা উপজেলা প্রতিনিধি: সোনাতলার উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্বামী আল-আমিন শিকদারকে মারপিটের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতার ছেলে ও সার ব্যবসায়ী শামীম হোসেনকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যাডমিন্টন খেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে এ মারধরের ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গেছে।
মারধরে ইউএনওর স্বামীর কাঁধের ভেঙে যাওয়া হাড়ে লাগানো স্ক্রু ছুটে গেছে। এতে তিনি গুরুতর আহত হয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈকত হাসান।
তিনি বলেন, “মামলার পর আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ৩০ অক্টোবর দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে বগুড়া জেল হাজতে পাঠানো হয়।
এজাহার সূত্র, পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আল-আমিন শিকদার তার স্ত্রী বগুড়ার সোনাতলা উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাঈদা পারভীনের সঙ্গে বসবাস করেন। শনিবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ব্যাডমিন্টন খেলা চলছিল। সেখানে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম বুলুর ছেলে শামীম হোসেন ও অন্যরা খেলছিলেন।
বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে ইউএনওর গাড়িচালক ফেরদৌস হোসেন সেখানে গিয়ে বলেন, “স্যাররা খেলবেন আপনারা চলে যান।” তখন শামীম হোসেন ও তার লোকজন চালক ফেরদৌসের ওপর চড়াও হন। এ সময় চিৎকার শুনে ইউএনওর স্বামী আল-আমিন শিকদার সেখানে যান। তিনি ঝগড়া করতে নিষেধ করলে শামীম হোসেন তাকে লাথি দেন ও মারপিট করেন। এতে আল-আমিন শিকদারের শোল্ডারের হাড়ে স্ক্রু লাগানো অংশে গুরুতর আঘাত পান। এ ঘটনায় শনিবার রাতে চালক ফেরদৌস হোসেন সোনাতলা থানায় শামীম হোসেনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। পরে পুলিশ তাকে (শামীম) গ্রেপ্তার করে।
ইউএনও সাঈদা পারভীন বলেন, “২০২০ সালে এক দুর্ঘটনায় স্বামী আল-আমিন শিকদারের ঘাড়ের হাড় ভেঙে যায়। সেখানে স্ক্রু লাগানো রয়েছে। তিনি বর্তমানে আমার সঙ্গেই সোনাতলায় থাকেন। আসামি শামীম হোসেনের আঘাতে ওই স্ক্রু খুলে গিয়ে আল-আমিন গুরুতর আহত হন। তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে যাবো।”
তবে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন আসামি শামীমের বাবা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সহ-সভাপতি ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম বুলু। তিনি দাবি করেন, তার ছেলে ইউএনওর স্বামীকে মারধর করেননি। উত্তেজিত ইউএনওর স্বামীর সঙ্গে আমার ছেলের ধাক্কাধাক্কি হয়েছে।
Array