রংপুর ব্যুরো প্রতিনিধি: বিএনপির সংসদ সদস্যরা (এমপি) যেকোনো সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, “আমাদের সোজা কথা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া এই দেশে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন হবে না। ২০১৪ আর ২০১৮ সালের মতো নির্বাচন করতে দেওয়া হবে না। এটা আমাদের সাফ কথা। আমাদের দলের সংসদ সদস্যরাও যেকোনো সময় সংসদ থেকে পদত্যাগ করবেন। এই সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। নতুন একটা নির্বাচন কমিশন গঠন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচন হবে। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে।”
শনিবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে রংপুরের ঐতিহাসিক কালেক্টরেট ঈদগাহ মাঠে আয়োজিত বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সকলের অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আন্দোলনের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারকে পরাজিত করতে হবে। দেশের যে ভয়াবহ অর্থনৈতিক বিপর্যয় সৃষ্টি হয়েছে; অর্থনৈতিক দুরাবস্থা দেখা দিয়েছে; রাজনীতি ধ্বংস হয়ে গেছে; তা ঠিক করতে মেরামত করতে জাতীয় সরকার দরকার। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয় সরকার গঠন করা হবে।” সরকার পতনের আন্দোলনে দেশের সকল মানুষকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মির্জা ফখরুল বলেন, “যারা দেশকে ধ্বংস করছে। মানুষকে ধ্বংস করছে। ভবিষ্যত প্রজন্মকে ধ্বংস করছে। যারা এই বাংলাদেশকে ধ্বংস করে দেয় তাদের আর ক্ষমতায় থাকতে দেওয়া যাবে না। আজকে দেশ একটা কঠিন দুঃসময় পার করছে। আমরা কোথায় যাব? এখন জোর করে ক্ষমতায় থাকা অবৈধ সরকারের প্রধানমন্ত্রী বলছেন, ‘দেশে নাকি দুর্ভিক্ষ হবে’। দুর্ভিক্ষ হলে মানুষ কোথায় যাবে। যদি দেশে দুর্ভিক্ষ হয় তার জন্য সমস্ত দায় দায়িত্ব নিতে হবে শেখ হাসিনা ও তার সরকারকে।”
রংপুর মহানগর বিএনপির সভাপতি শামসুজ্জামান শামুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন, রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সমাবেশের প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুল হাবিব (দুলু), সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল খালেক, স্বেচ্ছাসেবক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি এস এম জিলানী, কৃষক দলের মহাসচিব শহিদুল ইসলাম (বাবুল), ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাইফ মোহাম্মদ জুয়েল, রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্যসচিব অ্যাডভোকেট মাহফুজ উন নবী ডন, জেলা বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, সদস্যসচিব আনিছুর রহমান লাকু প্রমুখ।
Array