প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেছেন, ‘বিদ্যুৎ ব্যবহারে আমাদের সাশ্রয়ী হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। প্রয়োজনে দিনের বেলায় বিদ্যুৎ ব্যবহার বন্ধ করে দিতে হবে। আমাদের রিজার্ভ অনেকে কমে গেছে। আমাদের হাতে টাকা নেই। সামনে কী হবে, এখনই বলা যাচ্ছে না।’
আজ রোববার রাজধানীর একটি হোটেলে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই) আয়োজিত শিল্পে জ্বালানি সংকট সমাধান শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ কথা বলেন।
জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা এখন এলএনজি আনছি না। ভোলাতে আমাদের কিছু গ্যাস আছে। দুই-তিন মাসের মধ্যে আমরা সেটা নিয়ে আসার চেষ্টা করবো। তবে সরকার কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদনের দিকে যাচ্ছে। আশা করছি জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে এক হাজার মেগাওয়াট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ পাব আমরা। আরও এক হাজার মেগাওয়াট সোলার প্যানেলের মাধ্যমে উৎপাদন করবো। তখন সমস্যা অনেকটা সমাধান হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে যদি আমরা গ্যাস বাঁচাতে চাই তাহলে দেশে লোডশেডিং বাড়বে। একসময় দেশের সব জায়গায় বিদ্যুৎ ছিল না। আমরা চাইলে এসি বন্ধ রেখে বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে পারি। সারা দেশে যে পরিমাণ এসি চলে, তাতেই ৫ থেকে ৬ হাজার মেগাওয়াট চাহিদা আছে। আমরা কৃষি ও ইন্ডাস্ট্রিতে বিদ্যুৎ বেশি দেওয়ার চেষ্টা করছি। তাই আমাদের বিদ্যুৎ ব্যবহার কমাতে হবে। প্রয়োজনে দিনের বেলা বিদ্যুৎ ব্যবহারই করবো না।’
তৌফিক-ই-এলাহী বলেন, ‘যুদ্ধের সময় তো আমাদের কিছুই ছিল না। তখন আমরা চলেছি। এখনও পারব। আমরা শপথ নেব, দরকার হলে দিনের বেলায় কোনো বিদ্যুৎ ব্যবহার করবো না।
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন, বিটিএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ আলী খোকন, বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান, বুয়েটের সাবেক অধ্যাপক ড. ইজাজ হোসাইনসহ আরও অনেকে।
Array