আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী এক ব্যতিক্রমী ফোনালাপে অংশ নিয়েছেন। এদিকে কিয়েভ বাহিনী আরও অগ্রসর হওয়ার প্রেক্ষিতে ক্রেমলিনপন্থী কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা দক্ষিণাঞ্চলীয় খেরসন নগরীকে একটি দুর্গে পরিণত করছেন।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) রুশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী সার্গেই শোইগু ও মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের ফোনালাপের বিস্তারিত জানা না গেলেও উভয়পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে যে, তারা ইউক্রেন নিয়েই আলোচনা করেছেন।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেন পরিস্থিতিসহ আন্তর্জাতিক নিরাপত্তার প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
এদিকে মার্কিন সেনা মুখপাত্র বলেছেন, “ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ সত্ত্বেও যোগাযোগ অব্যাহত রাখার ওপর জোর দিয়েছেন অস্টিন।”
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার পর এটি এ ধরনের দ্বিতীয় ফোনালাপ। এর আগে মে মাসে অস্টিন অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের জন্যে মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছিলেন।
এদিকে কিয়েভ বাহিনী সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে দিনেপার নদীর পশ্চিমতীর ধরে ওই অঞ্চলের মূল শহর খেরসনের দিকে অগ্রসর হয়েছে।
শুক্রবার কিয়েভ জানিয়েছে, তারা খেরসন পুনরুদ্ধারে অভিযান শুরুর পর এ পর্যন্ত ৮৮টি শহর ও গ্রাম আবারো দখলে নিতে পেরেছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন কিয়েভ বাহিনীর এই পুনর্দখলকে স্বাগত জানিয়েছেন।
এদিকে ওই অঞ্চলে মস্কো নিয়োজিত কর্তৃপক্ষ অভিযোগ করেছে, স্থানীয় নাগরিকরা ব্যবহার করছেন এরকম একটি সেতুতে কিয়েভ বাহিনী হামলা চালিয়েছে। এতে চারজনের প্রাণহানি হয়েছে।
মস্কোপন্থী কর্মকর্তা কিরিল স্ট্রিমাসভ বলেছেন, “খেরসন শহরটি যেন একটি দুর্গ যা নিজেকে রক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছে।”
রুশ তদন্তকারীরা পরে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে দু’জন সাংবাদিক এবং এ ঘটনায় ১৩ জন আহত হয়েছেন।
তবে ইউক্রেনের সেনা মুখপাত্র রুশ পক্ষের এ অভিযোগ অস্বীকার করে জানিয়েছেন, তারা স্থানীয় জনগণকে টার্গেট করছেন না।
Array