আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বুকার পুরস্কার-২০২২ পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার লেখক শেহান কারুনাতিলাকা। শ্রীলঙ্কার ১৯৯০ সালের গৃহযুদ্ধ-পরবর্তী প্রেক্ষাপটে লেখা “দ্য সেভেন মুনস অব মালি আলমিদা” উপন্যাসের জন্য এ পুরস্কার লাভ করেন শেহান করুনাতিলকা। এ উপন্যাসে এক মৃত আলোকচিত্রীর পরকালের মিশনের গল্প বলেছেন তিনি।
শেহান কারুনাতিলাকা দ্বিতীয় শ্রীলঙ্কান যিনি মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার পেলেন।
গত সোমবার (১৭ অক্টোবর) লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে ব্রিটিশ রাজা চালর্সের স্ত্রী কুইন কনসোর্ট ক্যামিলার কাছ থেকে পুরস্কারের ট্রফি গ্রহণ করেন শেহান কারুনাতিলাকা। ট্রফির পাশাপাশি তাকে ৫৬ হাজার ডলার তুলে দেওয়া হয়।
ব্রিটেনের কুইন অব কনসোর্ট ক্যামিলা লন্ডনে এক অনুষ্ঠানে শেহান করুণাতিলকার হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। পুরস্কার পেয়ে নিজেকে সম্মানিত ও গর্বিত মনে করছেন বলে জানান লেখক।
করুণাতিলকা জানান, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কার গৃহযুদ্ধের অবসানের পর যখন কতজন বেসামরিক নাগরিক মারা গেল, এর পেছনে কে বা কারা দায়ী ছিল তা নিয়ে তুমুল বিতর্ক চলছিল, তখনই তিনি এমন একটি “ভৌতিক গল্প লেখার সিদ্ধান্ত নেন যেখানে মৃত ব্যক্তিরা তাদের চিন্তাধারা ব্যক্ত করতে পারবে”।
বুকার-২০২২ এর প্রধান বিচারক নিল ম্যাকগ্রেগর করুনাতিলকার বইটিতে নিহিত দক্ষতা, সাহস, স্ফূর্তি’র প্রশংসা করেন এবং বইটিকে “আফটারলাইফ নয়্যার” বলে উল্লেখ করেন, যা পাঠককে মৃত্যুর পরবর্তী জীবনের চড়াই-উৎরাই সম্পর্কে ধারণা দেয়।
এদিকে বুকার পুরস্কার গ্রহণ করার পর করুণাতিলকা বলেন, “শ্রীলঙ্কা বুঝতে পেরেছে যে এই দুর্নীতি, জাতি প্রলোভন এবং স্বজপোষণের ধারণাগুলো কাজ করেনি এবং কখনোই কাজ করবে না।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আশা করবো এই বইয়ের মুদ্রিত সংস্করণ আগামী দশ বছর পরেও দেখতে পাবো, সেভেন মুনস থাকবে শ্রীলঙ্কার বইয়ের দোকানগুলোতে ‘ফ্যান্টাসি’ বিভাগের বইগুলোর পাশে। সেই সাথে আশা করছি, এ বইটিকে রাজনৈতিক বই ভেবে ভুল করবেন না কেউ।”
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সাহিত্যে “বুকার” পুরস্কার দেয়। ইংরেজি ভাষায় লেখা সেরা মৌলিক উপন্যাসের জন্য এই পুরস্কার দেওয়া হয়। ১৯৬৯ সাল থেকে এই পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
৫০ হাজার পাউন্ডের মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কার, ইংরেজিতে যুক্তরাজ্যে প্রকাশিত একটি কথাসাহিত্যের জন্য এককভাবে দেওয়া হয়। সংক্ষিপ্ত তালিকায় থাকা অন্য পাঁচ লেখকদের প্রত্যেককে দেওয়া হবে আড়াই হাজার পাউন্ড করে। এবারের অনুষ্ঠানের তারকা অতিথি ছিলেন জনপ্রিয় গায়িকা ডুয়া লিপা।
Array