চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রতিনিধি:
চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে বালু তোলা নিয়ে বিরোধের জেরে গুলিবিদ্ধ বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র রেজাউল করিম খোকনকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নামে মামলা হয়েছে। রেজাউল করিম খোকন বর্তমানে ঢাকার একটি প্রাইভেট হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
সোমবার (১৭ অক্টোবর) ফেনীর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম কামরুল হাসানের আদালতে মামলাটি করেন নুরুল আলম। তিনি ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনের মালিকানাধীন প্রত্যয় এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হওয়া অশোক কুমার সেন (৪২), মো. মিজানুর রহমান (৩২), ফরহাদ (৩০), রাজু (৩০), সুজন (৩২), পারভেজ (৩৩), আবু নাঈম (২৮), আবু সাঈদ (২৭), মেহেদী হাসান (২৮), কামরুল হোসেন (৪০), জুবায়ের পারভেজ (৩২), মো. রাসেল (৩৫), মো. হারুন (৪০), আশরাফুল ইসলাম (২৮), মো. শাহরিয়ার সোহেল (৩৩), ফরহাদ হোসেন রাজু (৩০), সাইফুল ইসলাম (৩২), মো. সাইদ নিজাম সাকিব (৩০), আব্দুল মান্নান (৫৫), সাইদুজ্জামান মাসুদ (৩৫) ও শহিদুজ্জাদান জুয়েল (৩০)। আসামিদের অধিকাংশই মীরসরাই উপজেলার আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের রাজনীতিতে জড়িত।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাদীপক্ষের আইনজীবী বুলবুল আহমেদ সোহাগ সাংবাদিকদের জানান, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পরবর্তী করণীয় নিশ্চিতে সোনাগাজী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৪ অক্টোবর মেয়র রেজাউল করিম খোকনের নির্দেশে অন্য আসামিরা তাদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি গুলি করেন। এরপর ১ নম্বর আসামি ও ৪ থেকে ১১ নম্বর আসামির সহযোগিতায় বাদীর লিজকৃত জায়গা থেকে পাঁচটি বোটভর্তি করে ২৫ হাজার ঘনফুট বালু নিয়ে যান মেয়র, যার আনুমানিক মূল্য তিন লাখ টাকা। আসামিরা তাদের হাতে থাকা কিরিচ ও হকস্টিক দিয়ে কুপিয়ে চারটি নোঙর করা জাহাজ এবং জাহাজের মূল্যবান জিনিসপত্র ভাঙচুর করে, যার ক্ষতি আনুমানিক সাত লাখ টাকা।
গত ১৪ অক্টোবর মুহুরি সেচ প্রকল্প সংলগ্ন ফেনী নদীর কলমিচর এলাকায় বালু উত্তোলন করতে গেলে বারইয়ারহাট পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খোকনসহ চারজন গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় ১৫ অক্টোবর চেয়ারম্যান মজিবুল হক রিপনকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে ও অজ্ঞাত ১০ জনসহ সোনাগাজি মডেল থানায় একটি মামলা করেন উপজেলার ওচমানপুর ইউনিয়নের যুবলীগ নেতা মিজানুর রহমান ফরহাদ। এজহারনামীয় শাকিল, নুর আলম, মো. পলাশ ও মো. মাসুদ উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা বতর্মানে ফেনী কারাগারে আছেন।
এই মামলার প্রধান আসামি ফেনীর ফাজিলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবুল হক রিপন উচ্চ আদালত থেকে আগাম জামিন নিয়েছেন।
Array