কাশ্মীরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে প্রতিবছর লাখ লাখ পর্যটক ভিড় করেন। এবছর রেকর্ড পরিমাণ পর্যটক ভিড় করেছেন কাশ্মীরে। এমনটিই জানাচ্ছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘ ৭৫ বছর পর নাকি কাশ্মীরে এতো পর্যটকদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
সেখানকার কেন্দ্রীয় তথ্য ও জনসংযোগ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ১ লাখ ৬২ হাজারেরও বেশি পর্যটক জম্মু ও কাশ্মীরে উপস্থিত থেকেছেন। কাশ্মীরের ইয়োশমার্গ, সোনালগাহ, গুলমার্গ কিংবা পহেলগাম ভ্রমণ স্বপ্নের চেয়ে কম নয়।
কাশ্মীর ভ্রমণে কোথায় কত খরচ?
যেহেতু এখন কাশ্মীরে ভয়াবহ ভিড় চলছে, তাই এখন ভ্রমণে খরচ বেশি হওয়া স্বাভাবিক। তাই এ সময় যায় জম্মু ও কাশ্মীর ভ্রমণে যাবেন, তারা অবশ্যই সঙ্গে পর্যাপ্ত অর্থ নিয়ে যাবেন।
আর হোটেল বুক করার জন্য অনেকেই বুকিংডটকম বা ওওয়াইও এর সাহায্য নেন। তবে এসবে ভরসা নেই ভিড়ের এই মৌসুমে। যেহেতু পর্যটকের সংখ্যা বেশি, তাই রুম বুকিং দিয়ে রাখলেও সেখানে নিয়ে পরে নাও পেতে পারেন। সেখানে নিয়ে খোঁজখবর নিলে ১০০০-১৫০০ রুপির মধ্যে হোটেল পেয়ে যাবেন।
চাইলে সেখানে গিয়ে নিজেদের জন্য রেন্ট এ কারের সুযোগ নিতে পারবেন। সেক্ষেত্রে গাড়িভেদে ৪ বা ৬ সিটের গাড়ির ভাড়া ১৫০০-৩০০০ এর মধ্যে পাবেন।
অবশ্য একটু দরদাম করতে পারলে কিছুটা কমেও পেতে পারেন। এক্ষেত্রে এজেন্টের সাহায্য নিতে পারবেন। তবে সরাসরি ড্রাইভারের কাছ থেকে নিলে দাম কম পড়বে।
কীভাবে যাবেন?
কাশ্মীর যেতে হলে ঢাকা থেকে আন্তর্জাতিক বিমানে প্রথম যেতে হবে দিল্লি ইন্ধিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। অথবা ঢাকা থেকে কলকাতা। পরে সেখান থেকে ডোমেস্টিক বিমানে জম্মু অথবা শ্রীনগর বিমানবন্দরে যাওয়া যাবে।
যদিও কলকাতা থেকে সরাসরি শ্রীনগরে কোনো ফ্লাইট নেই। তাই দিল্লি হয়ে যেতে হয়। চাইলে অবশ্য ঢাকা-কলকাতা-দিল্লি-শ্রীনগর এভাবে ভেঙে ভেঙেও যেতে পারবেন। সেক্ষেত্রে খরচ অনেকটাই কম হয়।
এছাড়া অন্তত এক মাস আগে বিমানের টিকিট কেটে রাখলেও লাভবান হবেন। এক্ষেত্রেও কম খরচে ভ্রমণ করতে পারবেন।
আবার কলকাতা বা দিল্লি পৌঁছে আপনি বাস বা ট্রেনযোগেও যেতে পারবেন। কলকাতার ট্রেন ৪১-৪৫ ঘণ্টায় আপনাকে নামিয়ে দেবে জম্মুতে। জম্মু থেকে মাত্র ২৫ মিনিট বিমানে উড়ে যেতে পারেন শ্রীনগর।
স্থলপথে যেতে চাইলে ঢাকা-কলকাতাগামী বাস যেমন- গ্রিনলাইন, সোহাগ কিংবা শ্যামলী এসি বা নন এসি বাসে চেপে বসতে পারেন। সেক্ষেত্রে বাসভেদে নন এসিতে ভাড়া পড়বে ৭০০-১০০০ টাকা আর এসিতে ১৫০০-২০০০ টাকা।
এছাড়া খরচ কমানোর আরেকটি উপায় আছে। তাহলো দেশের অভ্যন্তরীণ যে কোনো বাসে সীমান্ত পর্যন্ত যেতে হবে। তারপর সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের লোকাল বাস বা ট্রেনযোগে পৌঁছে যান কলকাতায়। আর সীমান্ত পেরিয়েই টাকা বদলে নিন রুপিতে।
Array