শিক্ষা ডেস্ক:
বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক নারী শিক্ষককে “চরিত্রহীন ও অসৎ” উল্লেখ করে তাকে বদলির নির্দেশনা জারি করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি শাখা।
কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুস সালাম সই করা এক চিঠিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
কলেজের কথিত খণ্ডকালীন শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের একটি অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে মন্ত্রণালয় গত ১০ অক্টোবর চিঠিটি ইস্যু করেছে। সেটি বুধবার (১২ অক্টোবর) পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ জাকির হোসেন।
চিঠির শিরোনামে বলা হয়েছে, “চরিত্রহীন, অসৎ … কে বরিশাল টেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে অন্যত্র বদলি প্রসঙ্গে।” চিঠিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ তদন্তপূর্বক পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠি পেয়েই অধ্যক্ষ কলেজের একাডেমিক কাউন্সিলের জরুরি সভা ডেকেছেন। তদন্ত না করেই মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এভাবে একজন শিক্ষকাকে “চরিত্রহীন” উল্লেখ করায় সভায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন শিক্ষকরা।
চিঠির বিষয়ে ক্ষুব্ধ কলেজটির অধ্যক্ষও। একজন শিক্ষকের সম্মান ক্ষুণ্ন করার অধিকার মন্ত্রণালয়ের নেই জানিয়ে অধ্যক্ষ জাকির হোসেন বলেন, “উপসচিবের সই করা ওই চিঠিতে আমার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষককে চরিত্রহীন ও অসৎ বলা হয়েছে, যা একেবারে নিন্দনীয়। চিঠির ভাষাগত ব্যবহার আক্রমণাত্মক ছিল।”
কলেজের শিক্ষকেরা বলেন, “অভিযোগকারী হিসেবে আনোয়ার হোসেনের নাম ব্যবহার করা হয়েছে। কলেজে এই নামে কোনো শিক্ষক নেই। অভিযোগের বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বিস্তারিত তথ্যও দেওয়া হয়নি।”
ওই নারী শিক্ষক ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেন, “চিঠি দেওয়ার আগে মন্ত্রণালয়ের উচিত ছিল অধ্যক্ষের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা।”
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনির কাছে এ বিষয়ে তিনি অভিযোগ দেবেন বলেও জানান।
চিঠিতে সই দেওয়া শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের উপসচিব মুহাম্মদ আব্দুস সালাম বলেন, “আনোয়ার হোসেন নামের একজন অভিযোগ করেছেন ওই শিক্ষক ‘চরিত্রহীন এবং অসৎ’। আমরা তার অভিযোগটি তদন্তের জন্য চিঠি দিয়েছি। ওই চিঠিতে অভিযোগকারীর আনিত অভিযোগের বিষয়টি উল্লেখ করতে গিয়ে ‘অসৎ ও চরিত্রহীন’ লিখেছি। এটা আমাদের বক্তব্য নয়, অভিযোগকারীর বক্তব্য।”
Array