আগামী ১৭ অক্টোবর অনুষ্ঠেয় ঝালকাঠি জেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে হঠাৎ করে স্থানীয় আ’লীগ মনোনীত রাজাপুর ও কাঠালিয়ায় সাধারন ও সংরক্ষিত সদস্য প্রার্থীদের বিরুদ্ধে মহড়া, ক্ষমতার অপব্যবহার, আচরন বিধি লংঘনের উৎসব চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দি একাধিক প্রার্থী প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও রিটার্নিং অফিসার ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক বরাবর অভিযোগ প্রদান করেছে। তারা সুষ্ঠ , নিরপেক্ষ, অবাধা নির্বাচনের জন্য ভোটের দিন বেশী সংখ্যক নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও সার্বক্ষনিক ম্যাজিষ্ট্রেটসহ ভ্রাম্যমান আদালতকে নিয়োগের দাবী জানিয়েছেন।
দলীয় সূত্রে জানাগেছে, জেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র দাখিল শেষে আওয়ামী লীগ সমর্থীত সাধারণ সদস্য পদে শামসুল ইকরাম পিরু (সদর), হাজী মোঃ সোহরাব হোসেন (নলছিটি), এড. এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজ (রাজাপুর), এস এম ফয়জুল আলম সিদ্দিকী ফিরোজ (কাঠালিয়া) এবং সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে ঝালকাঠি-নলছিটি থেকে হোসনে আরা মন্নান ও রাজাপুর-কাঠালিয়ার থেকে জাহানারা হকসহ ৬জন মনোনয়ন জমা দেন।
সূত্র আরো জানিয়েছে, নির্বাচনে সাধারন ও সংরক্ষিত সদস্য পদে আওয়ামীলীগ ও অংগসংগঠনের মোট ১৭জন নেতা র্প্র্থা হিসাবে মনোয়ন দাখিল করেন। এরমধ্যে ঝালকাঠি-নলছিটি উপজেলা আ’লীগ সমর্থিত ৩ প্রার্থীদের মধ্যে বিপক্ষে কোন
প্রার্থী না থাকায় তারা বিনাপ্রতিদ্বন্দিতায় বিজয়ী হন। অন্যদিকে রাজাপুর-কাঠালিয়ার দলীয় ৩ প্রার্থীর বিরুদ্ধে দলের ১১জন প্রার্থী তাদের প্রার্থীতা বহাল রাখেন।
নির্বাচনে রাজাপুর ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে একজন সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ চার প্রতিদ্বন্দ্বী, কাঠালিয়া ওয়াডে সাধারণ সদস্য পদে ৩ জন ও সংরক্ষিত মহিলা সদস্য ওয়ার্ড-২ (রাজাপর-কাঁঠালিয়া) সাবেক জেলা পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সহ ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ভোটের মাঠে লড়াই করছে।
আসন্ন নির্বাচনে রাজাপুর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান-মেম্বারসহ ভোটার সংখ্যা ৭৯ জন ও কাঠালিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ৮১জন। ভোটারের মধ্যে অধিকাংশ রাজনৈতিক ভাবে নিস্কীয় ও ভোট প্রয়োগে গিয়ে ঝুঁকির মধ্যে পরতে
চাচ্ছেন না। প্রার্থীদের মধ্য থেকে তাদেরকে নিরাপত্তা নিশ্চিতের কথা বলা হলেও তারা তা বিশ্বাস করতে পারছেন না।
ইতিমধ্যে রাজাপুরে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী এড. এএইচএম খায়রুল আলম সরফরাজের পক্ষে মোটরসাইকেল বহর নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদে ভোটারদের কাছে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আর কাঠালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান
এমদাদুল হক মনিরের মা জাহানারা হকের পক্ষে তিনি উপজেলা পরিষদের সকল ক্ষমতা ব্যবহার করছেন বলে লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে সহকারী রিটানিং অফিসার ওহিদুজ্জামান মুন্সি বলেন, নির্বাচন চলাকালীন সময়ে ভোট কেন্দ্র সিসিটিভি ক্যামেরা দ্বারা নির্বাচন কমিশন সচিবালয় মনিটরিং করবেন। এছাড়া জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেটদের দায়িত্ব দেয়া ও নিরাপত্তা রক্ষার্থে পুলিশ সহ অন্যান্য আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী মোতায়ন করা হবে। আর ভোট কেন্দ্রে প্রশাসন ও পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা
উপস্থিত থেকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠ ও শান্তি পূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করবেন।