বগুড়ার সারিয়াকান্দিতে ভালোবাসার মানুষের মৃত্যুতে তিন সপ্তাহের ব্যাবধানে আবিদ (১৪) নামের এক শিক্ষার্থী গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে। সোমবার সন্ধায় উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আবিদ উপজেলার ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের জোড়গাছা পশ্চিমপাড়া মহল্লার আব্দুল বারিকের ছেলে এবং জোড়গাছা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্র। আবিদ—মোহনাদের মতো অল্প বয়সি কিশোর—কিশোরীদের অকাল মৃত্যুতে এলাকায় শোকের মাতম বয়ছে।
সরেজমিনে জানাগেছে, সোমবার সন্ধায় আবিদ তাদের শয়নকক্ষে আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৫ঘটিকায় গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে বমন শুরু করে। বিষয়টি তার মা দেখতে পেয়ে চিৎকার দেয়। পরে প্রতিবেশীদের সহযোগীতায় তাকে উদ্ধার করে সন্ধায় বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে শজিমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর আগে আবিদ তার ব্যক্তিগত প্রফাইলে লিখে গেছে “মৃত্যু আমার কি করবে, আমি নিজেই মৃত্যুকে ডেকে আনব।”
আবিদের চাচি বিনা জানায়, ওইদিন আবিদ স্কুল থেকে বিকেলে বাড়ি ফিরে ঘরে সকলের অজান্তে এ ঘটনা ঘটায়। সুশীলব্যক্তিবর্গের অভিযোগ, নেট দুনিয়া সহজলভ্য ও উম্মুক্ত হওয়ায় নেটিজেনরা তাদের শারিরীক পরিবর্তণের সাথে নেট দুনিয়ায় গা ভাসিয়ে দিতে টিকটক, ভাইভার সহ বিভিন্ন সোশাল মিডিয়ায় অশ্লীল দৃশ্য দেখে অল্প বয়সে প্রেমে জড়িয়ে পড়ছে। তাছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈতিক শিক্ষার চচার্ না থাকায় কিছু বুঝে উঠার আগেই অনেক শিশু আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে। এদিকে আবিদ কে জীবন সঙ্গি হিসেবে না পাওয়ার আশঙ্কায় ২৬ সেপ্টেম্বর একই এলাকার জনৈক ব্যক্তির ১৩ বছরের মেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে। প্রেম ঘটিত কারণে কিশোর—কিশোরীদের অকাল মৃত্যুতে দিশেহারা অভিভাবক মহল।
ভেলাবাড়ী ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য মোঃ সোহেল রানা (আব্দুল হামিদ) ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন বিষয়টি আমি জানি। সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার চচার্ না থাকায় আবিদের মতো অনেক শিশু অকালে প্রাণ হারাচ্ছে। এ বিষয়ে কুতুবপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোনটি বন্ধ থাকায় কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
Array