শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সীমান্তে পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এবার বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে। বন্যহাতি আতঙ্কের পর গত এক সপ্তাহ ধরে বাঘ আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আতঙ্কগ্রস্থ পাহাড়ি গ্রামগুলোর হচ্ছে, বাকাকুড়া নয়াপাড়া, উত্তর গান্ধিগাঁও, হালচাটি ও ছোট গজনী এলাকা। জানা গেছে, এসব পাহাড়ি গ্রামগুলোতে যুগযুগ ধরে চলে আসছে বন্য হাতির তান্ডব। উপুর্যুপুরি বন্যহাতির তান্ডবের বিপর্যস্ত হয়ে পরেছে পাহাড়ি গ্রামবাসীরা। বন্যহাতির পর এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে বাঘ আতঙ্ক । গ্রামবাসীরা জানায়, গত প্রায় এক সপ্তাহে গ্রামবাসীতের ২০টি ছাগল খেয়েছে বাঘে । বাঘের আক্রমনে এক শিশু আহত হয়েছে।

বাকাকুড়া এলাকার ইউপি সদস্য মুসা সরদার বলেন ওই গ্রামের সাগর আলী ২টি , আমিনুলের ১টি গান্ধিগাঁও গ্রামের আলমের ১টি ঠান্ডু পাগলার ১টি আক্তারের ১ টি ছাগল সহ প্রায় ২০টি ছাগল খেয়েছে সপ্তাহের ব্যাবধানে । এছাড়া গান্ধিগাঁও গ্রামের মঞ্জু মিয়ার ১ টি গরু ও সবুজ মিয়ার ১ টি ভেড়া আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। অপরদিকে উত্তর বাকাকুড়া গ্রামের গুজা ওরফে গজেন্দ্র মারাকের ৮ বছর বয়সী এক শিশু আহত হয়েছে বাঘের আক্রমনে। বর্তমানে উল্লেখিত পাহাড়ি গ্রামগুলোতে এখন বিরাজ করছে বাঘ আতঙ্ক।

স্থানীয় বন বিভাগ সীমান্তের গ্রামবাসী সহ তাদের পশু ও শিশুদের নিরাপদে রাখতে অনুরোধ জানিয়েছেন। রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অন্ধকারে আছি । তবে বন বিভাগের পক্ষ থেকে স্থানীয় বাসিন্দাদেরও নিরাপদে থাকতে বলা হয়েছে।