সয়াবিন তেলের দাম লিটার প্রতি ১৪ টাকা কমছে।প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১৭৮ টাকা, আগের দাম ১৯২ টাকা।
সোমবার নতুন এ দাম নির্ধারণ করেছে ভোজ্যতেল পরিশোধন ও বাজারজাতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর মালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আগামীকাল মঙ্গলবার থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে মিলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
সংগঠনটি একটি বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি বিষয়ে ও এলসি খোলার জটিলতা নিয়ে আলোচনা শেষে এবং ভোক্তাদের সুবিধার্থে ভোজ্যতেলের দাম ১৪ টাকা কমানো হয়েছে। এর আগে গেল ২৩ আগস্ট বোতলজাত এক লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৭ টাকা বাড়িয়ে ১৯২ এবং ৫ লিটারের বোতলের দাম ৯৪৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এদিকে ভোজ্যতেলে ভ্যাট অব্যাহতি সুবিধা আরও ৩ মাস বাড়ানোর বিষয়ে ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
গত ১৪ মার্চ সয়াবিন ও পাম তেলের উৎপাদন পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং ব্যবসায় পর্যায়ে ৫ শতাংশ ভ্যাট মওকুফ করে প্রজ্ঞাপন জারি করে এনবিআর। এর মাত্র দুই দিন পরেই ভোজ্যতেল আমদানি পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ ভ্যাট কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়। সে সময়ে এ নির্দেশের মেয়াদ ৩০ জুন পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়। পরে গেল ৩ জুলাই সে মেয়াদ বাড়িয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত করে এনবিআর।
অর্থাৎ ৩০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, খুব শিগগিরই এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি হবে। এনবিআরের সূত্রে জানা গেছে, ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত স্থানীয় ও আমদানি পর্যায়ে ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা বহাল রাখা হতে পারে।
তবে চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময় ভ্যাট সুবিধা অব্যাহত রাখার দাবি জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীরা।
এর আগে ২০ সেপ্টেম্বর ভোজ্যতেলের ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা ২০২৩ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত বহাল রাখার অনুরোধে এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিমকে চিঠি দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন, পরিশোধিত ও অপরিশোধিত পাম তেলের দাম কিছুটা কমলেও ডলারের দাম বৃদ্ধির (আগে ১ ডলার সমান ৮৬ টাকার স্থলে বর্তমানে ১ ডলার সমান ১০৫ টাকা) কারণে অভ্যন্তরীণ বাজারে পণ্যের মূল্য আনুপাতিক হারে কমানো সম্ভব হচ্ছে না। তাই স্থানীয় বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য ও সরবরাহ স্থিতিশীল রাখতে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ ১ অক্টোবর থেকে বাড়িয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুন মাস পর্যন্ত বৃদ্ধি করা প্রয়োজন।
Array