নিউজ ডেস্ক/
ইন্দোনেশিয়ার একটি ফুটবল স্টেডিয়ামে উগ্র সমর্থকদের লক্ষ্য করে পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপের পর পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা আগে ১৭৪ জন বলা হলেও পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ তা সংশোধন করে জানায় যে, এই ঘটনায় ১২৫ জন মারা গেছে।
ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ লিগের ম্যাচে আরেমা এফসি ও পার্সেবায়া সুরাবায়ার মধ্যকার খেলা শেষে পুলিশের সাথে সমর্থকদের এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। রোববার (২ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
গত শনিবার রাতে ইন্দোনেশিয়ার পূর্ব জাভার মালাং অঞ্চলের কানজুরুহান স্টেডিয়ামে খেলা শেষে সংঘর্ষ ও প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। ম্যাচের সময় স্টেডিয়ামে ৪২ হাজার দর্শক উপস্থিত ছিলেন যা স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতার চার হাজার বেশি।
মূলত পুলিশ টিয়ারগ্যাস নিক্ষেপের পর দ্রুত স্টেডিয়াম থেকে বের হওয়ার চেষ্টাকালে অধিকাংশ হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের ঘটনার পরপরই বেশ কিছু ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এসব ভিডিওতে চূড়ান্ত বাঁশি বাজানোর পর সমর্থকদের মাঠের দিকে দৌড়াতে দেখা যায়। পুলিশ তখন টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে, যার ফলে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হওয়া এবং শ্বাসরোধের ঘটনা ঘটে।
বিশৃঙ্খলার মধ্যে কেউ কেউ শ্বাসরুদ্ধ হয়ে আবার কেউ কেউ পদদলিত হয়ে মারা যান। এছাড়া স্টেডিয়ামে বিশৃ্খলার এই ঘটনায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাসহ অন্তত ৩৪ জন মারা যান।
পূর্ব জাভা প্রদেশের ভাইস গভর্নর এমিল দারদাক জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা ১২৫ জনে নামিয়ে আনা হয়েছে। তিনি দাবি করেন, ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে কিছু নাম দু’বার রেকর্ড করা হয়েছিল। আর তাই শুরুতে কর্মকর্তারা মৃতের সংখ্যা ১৭৪ বলে জানালেও পরে তা সংশোধন করে ১২৫ জনে নামিয়ে আনা হয়।
হাসপাতালের একজন পরিচালক স্থানীয় টেলিভিশনকে বলেছেন, নিহতদের মধ্যে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশুও রয়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার প্রধান নিরাপত্তা মন্ত্রী রোববার বলেন, স্টেডিয়ামের দর্শক ধারণক্ষমতা ৩৮ হাজার হলেও বিপুল আগ্রহের কারণে আরও প্রায় ৪ হাজার বেশি দর্শক ম্যাচের টিকিট কিনে মাঠে উপস্থিত ছিলেন। আর ম্যাচ শেষে ৩ হাজার দর্শক মাঠে প্রবেশ করেন।
এদিকে এই ঘটনার পর তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ইন্দোনেশিয়ার শীর্ষ এই লিগের সব ম্যাচ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছেন ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো।
Array