সিলেট জেলা প্রতিনিধি : সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। দুই তিন মাসের শিশু থেকে সব বয়সের মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এ রোগে। উপজেলার প্রতিটি গ্রামেই ছড়িয়ে পড়েছে এ রোগ। হঠাৎ করে চোখ ওঠা রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ায় আতঙ্কিত আক্রান্ত পরিবার। ঘরে ঘরে চোখ ওঠা রোগী বাড়ায় চিকিৎসকরা আতঙ্কিত না হয়ে সতর্কতার পরামর্শ দিচ্ছেন।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায়— এ রোগকে কনজাংটিভাইটিস বা কনজাংটিভার বললেও সাধারণ মানুষের কাছে এটা চোখ ওঠা নামেই পরিচিত। রোগটি ছেঁায়াচে হওয়ায় একজনের কাছ থেকে অন্যজনের কাছে দ্রুত ছড়াচ্ছে, শুক্রবার (৩০ সেপ্টেম্বর)সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায় হাটবাজারে অধিকাংশ চোখ ওঠা রোগীর দেখা মিলছে। চোখ ওঠা রোগ থেকে বাঁচতে অনেককে চোখে কালো চশমা ব্যবহার করতে দেখা গেছে।
দুই দিন ধরে জগন্নাথপুর উপজেলার হাসপাতাল, কমিউনিটি ক্লিনিক, ফার্মেসি এবং পল্লী চিকিৎসকের কাছে চোখ ওঠা রোগীর বেশ ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
আক্রান্তরা চোখে কালো চশমা ব্যবহারের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন। জগন্নাথপুরে চোখ ওঠা রোগের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন ফার্মেসিতে চোখের ড্রপের চাহিদা বেড়েছে। জগন্নাথপুর বাজারের শাহপরান মেডিসিন সেন্টার পাভেল আহমদ জানান— দুই একদিন ধরে ফার্মেসিতে প্রচুর চোখ ওঠা রোগী ভিড় করছেন। আক্রান্ত ব্যক্তিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলছেন।
জগন্নাথপুর হাবিব নগর বাসিন্দা মোঃ আবদাল হোসেন বলেন, দু’দিন ধরে তিনি চোখ ওঠা রোগে আক্রান্ত। প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ হয়েছেন তিনি।
উপজেলার সৈয়দপুর হুসাইনিয়া হাফিজিয়া আরাবিয়া দারুল হাদিস টাইটেল মাদ্রাসার ছাত্র উসমান গনি বলেন, চোখ উঠার পর চোখে কালো চশমা ব্যবহারের পাশাপাশি প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন এখন কিছুটা সুস্থবোধ করছেন।
জগন্নাথপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মধুসুধন ধর বলেন, এটি একটি ছেঁায়াচে রোগ। এতে আতঙ্কিত না হয়ে সতর্ক হতে হবে। চোখ উঠা নিয়ে বাইরে ঘুরাঘুরি করা যাবে না। তাহলে আক্রান্তের সংখ্যা আরও ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে। চোখ উঠা রোগী ২/৩ দিনের মধ্যে সুস্থ্য না হলে উদ্বিগ্ন না হয়ে চক্ষু চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
Array