নিজেস্ব প্রতিবেদকঃ
প্রযুক্তির যুগে জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত হোক প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আজ “আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস “- ২০২২ এ গ্রীন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ এক বর্নাট্য র্যালির আয়োজন করেন।
রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটিতে আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস পালিত হয়েছে। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) বর্ণাঢ্য র্যালি, তথ্যের অধিকার শীর্ষক মতবিনিময়সহ নানা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া কমিউনিকেশন (জেএমসি) বিভাগে দিবসটি পালিত হয়।
বিভিন্ন কার্যক্রমে বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শেখ শফিউল ইসলাম, শিক্ষক মনিরা শরমিন, ডিপার্টমেন্ট কো-অর্ডিনেশন অফিসার ঈশিতা জাহান শম্পাসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা এতে অংশগ্রহণ করেন।
জেএমসি বিভাগের সিনিয়র শিক্ষক ও তথ্য অধিকার বিশেষজ্ঞ ড. অলিউর রহমান এবং প্রভাষক সরোজ মেহেদীর নেতৃত্বে শিক্ষার্থীদের একাংশ র্যালিসহ বেগম রোকেয়া সরণীস্থ সিটি ক্যাম্পাস থেকে আগারগাঁওয়ের ফিল্ম আর্কাইভ ভবনে তথ্য কমিশন আয়োজিত আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তথ্য কমিশন আয়োজিত এ সেমিনার ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
প্রধান অতিথি এমপি,তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেন – “জনগন যত বেশি তথ্য পাবে জনগণের তত বিভ্রান্তি দূর হবে এবং তথ্যের অবাদ প্রবাহ জনগণ ও সরকারের মধ্যে সংযোগ তৈরি করে এবং জনগণ উপকৃত হয়।”
তিনি আরও বলেন – “আমরা আমাদের অধিকার নিয়ে সচেতন কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে নয়।”
তিনি জনগণের প্রতি অনুরোধ করে বলেন – “আমরা স্বাধীনতার পাশাপাশি দায়িত্বশীল হব। আমাদের যেমন দায়িত্বশীল থাকতে হবে তেমনি ক্ষমতা প্রয়োগের ক্ষেত্রে বিচারবোধ ও বিবেক প্রয়োগ করতে হবে।”
তথ্য ও গণযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি বলেন- “আমরা বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বসবাস করি আর বহুমাত্রিক গণতান্ত্রিক সমাজ ব্যবস্থা তখনি উপকৃত হয়, সমৃদ্ধ হয় যখন তথ্য অধিকার নিশ্চিত হয়।”
এছাড়াও অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি জনাব মোঃ মকবুল হোসেন, সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও অনুষ্ঠানের সভাপতি সুরাইয়া বেগম, এনডিসি,তথ্য কমিশন সহ আরও অনেকে বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনে ২৮ সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক তথ্য অধিকার দিবস হিসেবে স্বীকৃতি পায়। বাংলাদেশে তথ্যের অবাধ প্রবাহ এবং জনগণের তথ্য অধিকার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ২০০৯ সালে তথ্য অধিকার আইন প্রণীত হয়।
আজকালের বার্তা/এফ.জে ওমর
Array