আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশ নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্দেশনা মেনে চলবে বলে জানিয়েছেন সদ্য পুলিশ মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) দায়িত্ব পাওয়া র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন।
আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় কথা বলেন নতুন আইজিপি।
র্যাব ডিজি হিসেবে দীর্ঘ দুই বছরের বেশি সময় দায়িত্ব পালন শেষে আইজিপি হিসেবে পদোন্নতি পেয়ে যোগ দেওয়ার আগে আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, যেখানে প্রয়োজন হয় সেখানেই শক্তি প্রয়োগ করি। যেখানে প্রয়োজন হয় না সেখানে করি না। একটা লোক দৌড় দিলো, ধাক্কা দিলো আর গুলি করে দিতে হবে? সিচুয়েশন যে ডিমান্ড করে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নিয়ে থাকি। আমাদের দেশে প্রচলিত আইন অনুযায়ীই ব্যবস্থা নিয়ে থাকি।
মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ শুরু করেছে র্যাব। কিন্তু মাদক বাড়ছে মাদকসেবীও বাড়ছে। তাহলে মাদকের বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান ব্যর্থ কি না?
এমন প্রশ্নে নতুন আইজিপি বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে আমরা যে যুদ্ধ করছি সেটা বৈশ্বিক যুদ্ধ, এ যুদ্ধ শুধু আমরা না, বিশ্বজুড়েই চলছে। আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কাজের কারণে কারাগারে যে আসামি তার বেশিরভাগই মাদকের। প্রধানমন্ত্রীর জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণের পর যেখানেই মাদক সেখানেই সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। শুধু র্যাব নয়, সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীই তাদের ধরছে। মাদকের বিষয়ে সবার ঘর থেকেই সচেতনতা দরকার। সন্তান কোথায় যাচ্ছে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে অভিভাবকদের।
তিনি বলেন, ডিমান্ড অ্যান্ড সাপ্লাই একটার সঙ্গে আরেকটা জড়িত। এটা বন্ধে আমরা কাজ করছি। মাদক নিয়ন্ত্রণে নেই, এটা বলার অবকাশ নেই। যেখানেই খবর পাচ্ছি সেখানেই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। আমরা যদি মাদকের বিরুদ্ধে ব্যর্থই হতাম তাহলে কারাগারে এতো মাদকের আসামি থাকতো না। আমরা সবাই সোচ্চার হলে শিগগির মাদকমুক্ত সমাজ দেখতে পাবো বলে বিশ্বাস করি।
র্যাবের সদ্য বিদায়ী এই ডিজি জানান, তার সময়কালে ৩৬ হাজার মাদক কারবারিকে গ্রেফতার, ২ হাজার ৩০০ কোটি টাকা মূল্যের মাদকদ্রব্য উদ্ধার এবং ৭৭ হাজার বোতল মাদকের চালান জব্দ করা হয়েছে।
মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন র্যাবের মিডিয়া ও লিগ্যাল উইং পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈনসহ র্যাবের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
Array