নোয়াখালীতে আলোচিত চাঞ্চল্যকর অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী তাসমিয়া হোসেন অদিতি (১৪) হত্যা মামলায় আসামিদের পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না বলে জানিয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ও জেলা জজ আদালতের আইনজীবী শিহাব উদ্দিন শাহীন।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে জেলা শহরের লক্ষ্মীনারায়ণপুর এলাকায় নিহত অদিতার বাসায় পরিবারের সদস্যদের দিতে গিয়ে এ ঘোষণা দেন শাহীন।
এসময় শাহীন বলেন, আমাদের এই এলাকার মেধাবী ও সম্ভাবনাময় স্কুলছাত্রী অদিতাকে অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে এবং ঠাণ্ডা মাথায় ধর্ষণের পর গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। হত্যার ঘটনা প্রায় উন্মোচিত হয়ে গেছে। আমি জেলা আইনজীবী সমিতির বর্তমান এবং সাবেক সব নেতাদের সঙ্গে কথা বলেছি। অদিতা হত্যা মামলার কোনো আসামির পক্ষে নোয়াখালী জেলা জজ কোর্টের কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন না। এ বিষয়ে নোয়াখালী আইনজীবী সমিতি থেকে শিগগিরই আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে।
তিনি আরও বলেন, আসামিদের সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করতে আমি এবং আমাদের বারের প্রায় সব সিনিয়র আইনজীবী রাষ্ট্রপক্ষে/ভিকটিমের পক্ষে আদালতে লড়বো। কোনোভাবেই এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের আসামিদের ছাড় দেওয়া হবে না।
এদিকে অদিতি হত্যার প্রধান আসামি কোচিং শিক্ষক আবদুর রহিম রনিকে ৩ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত। শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে নোয়াখালী আমলী নং-১ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিট্টেট মোঃ এমদাদ এ রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন। এর আগে, বিকেলে রনির ১০ দিন রিমান্ড চেয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। রিমান্ড মঞ্জুর শেষে আসামিকে থানায় নেওয়া হয়েছে। পরিবার অভিযোগ, গৃহশিক্ষকের প্রেমের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় অদিতাকে রনি হত্যা করেন।
গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মো. শহিদুল ইসলাম জানান, ঘটনার পরপরই তিনিসহ পুলিশের একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় সন্দেহভাজন চারজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে ওই ছাত্রীর সাবেক এক গৃহশিক্ষক রনির সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে প্রাথমিক তথ্যে প্রমাণ পাওয়া গেছে। ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নিতে ঘরের আলমারির জিনিসপত্র তছনছ করা হয়। রনি পরিকল্পিতভাবেই হত্যা করেছেন অদিতাকে। যে কক্ষে অদিতাকে হত্যা করা হয়, সেই কক্ষের টয়লেটের পানির ট্যাপ ছেড়ে দেওয়া হয়, টেলিভিশনের সাউন্ড বাড়িয়ে দেওয়া হয়। হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিও নেওয়া হয় অদিতাদের রান্নাঘর থেকে।
Array