ajkalerbarta
22nd Sep 2022 8:14 am | অনলাইন সংস্করণ
লালমনিরহাট প্রতিনিধি : সফিকুল ইসলাম (৩৮)। পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। দীর্ঘ একবছর ধরে ব্লাড ক্যান্সারে আক্রান্ত তিনি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তার আর্থিক সাহায্যের প্রয়োজন। লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের পশ্চিম সারডুবি এলাকায় মৃত রহিম উদ্দিনের ছেলে সফিকুল।
স্ত্রী, তিন ছেলে এক কন্যা ও ভাইসহ মোট আটজন পরিবারের সদস্য নিয়ে রাজমিস্ত্রী সফিকুল ইসলামের সংসার চলতো কোনোরকম। দীর্ঘ এক বছর থেকে ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার পর অভাবের সংসার সল্প আয় ও পাড়াপ্রতিবেশির কাছ থেকে ধারদেনা করে এতদিন কোনোভাবে তার চিকিৎসার খরচ মিটিয়েছেন। সবকিছু শেষ করে এখন তিনি অসহায় হয়ে পড়েছেন।
আড়াই শতাংশের বসতভিটে ছাড়া আর কিছু নেই তার। চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন করা তার পরিবারের পক্ষ থেকে আর সম্ভব হচ্ছে না। চিকিৎসক জানিয়েছেন, উন্নত চিকিৎসার মাধ্যমে তিনি সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন৷ সমাজের বিত্তবান ও দানশীল মানুষের কাছে আর্থিক সাহায্য চেয়েছেন। সবার সহযোগিতায় তিনি ফিরে পেতে পারেন ক্যান্সার মুক্ত একটি সুন্দর সুখের জীবন। সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে মানবিক দিক বিবেচনা করে আর্থিক সাহায্যে এগিয়ে আসার আবেদন করেছে তার পরিবারসহ এলাকাবাসী।
এর আগে তার ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া ছেলে সাকিব অ্যাপেন্ডিক্স রোগে আক্রান্ত হয়। পরে তাকে রংপুরে একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে অপারেশন করানো হয়। সেখানে চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫০ হাজার টাকা ব্যয় হয় ওই পরিবারের। এর কিছুদিন পর শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে সফিকুল মিস্ত্রি। বাবা ও ছেলের চিকিৎসা করতে গিয়ে এখন না খেয়ে দিন কাটছে তার পরিবারের সদস্যদের। এদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য প্রায় ৫ লাখ টাকা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সফিকুলের পরিবার।
বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, সফিকুল মিস্ত্রি’র ক্যান্সার আক্রান্ত হওয়ার বিষয়টি শুনেছি। খুবই দরিদ্র পরিবারটি। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে বর্তমানে সহযোগিতা করার কোনো উপায় নেই। তবে আমি ব্যক্তিগত ভাবে তাকে সহযোগিতা করবো। এ ছাড়া দেশের বিত্তবান ও দানশীল ব্যক্তিরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান তিনি।
হাতীবান্ধা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজির হোসেন বলেন, সফিকুল মিস্ত্রি’র ব্লাড ক্যান্সার আক্রান্তের বিষয়টি আমার জানা নেই। উপজেলা প্রশাসন বরাবর লিখিত আবেদন করলে যতটুকু সম্ভব তাকে সহযোগিতা করা হবে।