শার্শা উপজেলার কায়বা ইউনিয়নের রুদ্রপুর গ্রামের আসাদুজ্জামান ও রত্না খাতুনের একমাত্র মেয়ে নীলা। থ্যালাসেমিয়া রোগে আক্রান্ত ৮ বছর বয়সী শিশুটি তার বাবাকে জড়িয়ে ধরে বলছিল, ‘বাবা, আমি মরে গেলে ভালো হতো। জ্বালা-যন্ত্রণা হতো না। ঘুমিয়ে থাকতাম নিশ্চিন্তে।’
মেয়ের মুখে এমন কথা শুনে দরিদ্র বাবা-মা চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি। কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মাত্র আড়াই মাস বয়সে নীলা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত হয়। এরপর নিয়ম মেনে তার শরীরে রক্ত দিয়ে আসা হচ্ছে। কিন্তু রোগটি বর্তমানে জটিল আকার ধারণ করেছে। নীলার পেট ফুলে গেছে। দ্রুত উন্নত চিকিৎসার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। চিকিৎসায় ব্যয় হবে তিন লাখ টাকা। এই খরচ বহনের সামর্থ্য নেই শিশুটির মা-বাবার।
নীলার বাবা আসাদুজ্জামান মিষ্টির দোকানের কারিগর। মা রত্না খাতুন গৃহিণী। স্বল্প আয়ে মেয়ের চিকিৎসার খরচ মিটিয়ে সংসারে নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা।
টাকার অভাবে মেয়ের উন্নত চিকিৎসা করতে পারছেন না তারা। সন্তানের চিকিৎসার জন্য প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতা চেয়েছেন এই দম্পতি। সাহায্য করতে চাইলে আসাদুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা যাবে ০১৭৮৪-৫৫৪২৯১ নম্বরে।
স্থানীয় কায়বা ইউপি চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন বলেন, নীলার বাবা-মাকে ইউনিয়ন পরিষদে ডাকা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য যতটুকু সম্ভব সহযোগিতা করা হবে। তিনিও সকল বিত্তবানদের নীলার চিকিৎসায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
সুত্র: দৈনিক সমকাল
Array