প্রেমিককে আটকে রেখে নাটোরে  এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার  দিনগত রাতে ও আজ বুধবার ভোরে তাদের আটক করা হয়।

আটকরা হলেন- নাটোর শহরের কানাইখালী মহল্লার আফজাল হোসেনের ছেলে রনি মিয়া, মৃত মোহাম্মদ আলীর ছেলে রকি এবং আব্দুল মজিদের ছেলে সোহান, মৃদুল হোসেন ও তার স্ত্রী মিথিলা পারভীন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার বিকেলে রাজশাহীর বিনোদপুর থেকে এক যুবক তার এস এসএসসি পরীক্ষার্থী প্রেমিকাকে নিয়ে নাটোর আসেন বিয়ের উদ্দেশ্যে। স্থানীয় এক বন্ধু বিয়ে করানোর কথা বলে পৌর শহরের হাফরাস্তা এলাকায় মৃদুল ও মিথিলা দম্পতির বাসায় নিয়ে যান। এই দম্পতি রনি, রকি ও সোহানকে ডেকে নিয়ে আসে। এ সময় তারা যুবককে আটকে রেখে মেয়েটিকে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করেন। ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করেন তারা। এক লাখ টাকা না দিলে ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখান। পরবর্তীতে দুজন ছাড়া পেয়ে রাত ১১টার দিকে নাটোর থানায় গিয়ে অভিযোগ দেন।

খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই মিথিলা ও মৃদুলকে শহরের হাফরাস্তা এলাকার ভাড়া বাসা থেকে আটক করে। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় বুধবার ভোরে সদর উপজেলার তেলকুপি নুরানীপাড়া থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করা হয়। জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

নাটোর সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) জামাল উদ্দীন বলেন, আমরা ভুক্তভোগীর অভিযোগ পাওয়ার পরপরই অভিযানে নামি। পৌর শহরের হাফরাস্তা থেকে দুই সহযোগী এবং নাটোর সদর উপজেলার তেলকুপি নূরানীপাড়া থেকে অভিযুক্ত তিনজনকে আটক করি। তাদের বিরুদ্ধে নাটোর সদর থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এসআই আরও বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ভুক্তভোগী তরুণীকে মেডিকেল পরীক্ষার জন্য নাটোর আধুনিক হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।