নিম্নচাপ স্থলভাগে উঠে এলেও কমেনি উপকূলে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের কোনরূপ শঙ্কা। তাই সমুদ্রবন্দরগুলোতে ৩ নম্বর সতর্কতা সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। সোমবার ১২ সেপ্টেম্বর) এমন পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া কর্তৃপক্ষ।
ভারতের দক্ষিণ মধ্যপ্রদেশ এবং তৎসংলগ্ন অঞ্চলেস্থল নিম্নচাপটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে সুস্পষ্ট লঘুচাপ একই এলাকায় অবস্থান করছে। যারফলে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার তৈরী অব্যাহত আছে।
মৌসুমি বায়ুর অক্ষ রাজস্থান, সুস্পষ্ট লঘুচাপের কেন্দ্রস্থল, উড়িষ্যা, বিহার, গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ এবং বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চল হয়ে আসাম পর্যন্ত বিস্তার করছে। যার নির্দিষ্ট অংশ বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত রয়েছে। মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে প্রবল অবস্থায় বিরাজিত রয়েছে।
এ অবস্থায় মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত ঢাকা, খুলনা, বরিশাল, রাজশাহী এবং চট্টগ্রাম বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় আর রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া ও বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী অথবা অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে।
নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তর বঙ্গোপসাগর এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় গভীর সঞ্চারণশীল মেঘমালার তৈরি অব্যাহত রয়েছে। সমুদ্র বন্দরসমূহ, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
এছাড়া পূর্ণিমা এবং বায়ুচাপ তারতম্যের প্রভাবে উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, পিরোজপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, ভোলা, বরিশাল, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, নোয়াখালী, ফেনী, চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ আর চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ১-২ ফুট বেশি উচ্চতার বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
Array