ছয় দিনের মাথায় আবারও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে
রোববার রাত পৌনে ৮টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। সেখানে তার কয়েকটি পরীক্ষা করানো হয়। পরে প্রয়োজনীয় আরও কয়েকটি পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের পরামর্শে তাকে ভর্তি করা হয়।
এর আগে ২২ আগস্ট এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। এরপর তার সাতটি পরীক্ষা করানো হয়। পরীক্ষার রিপোর্ট দেখে মেডিকেল বোর্ড তাকে ভর্তি না করিয়ে বাসায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। এরপর সন্ধ্যায় হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন।
ওইদিন গুলশানে চেয়ারপারসনের বাসার সামনে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এজেডএম জাহিদ হোসেন বলেন, এর আগে পরীক্ষায় ম্যাডামের তিনটি ব্লক ধরা পড়ে। একটিতে রিং লাগানো হয়। বাকি দুটির চিকিৎসা হবে। এনজিওপ্লাস্টির পর ৪ থেকে ৬ সপ্তাহের মধ্যে রুটিন চেকআপ করাতে হয়। সেজন্য ইসিজি, ইকো, আলট্রাসনোগ্রাম, এক্স-রে করানো হয়।
এ ছাড়া রক্তের কয়েকটি পরীক্ষাও করানো হয়েছে। রিপোর্টগুলো পাওয়ার পর মেডিকেল বোর্ড পরবর্তী করণীয় ঠিক করবে। চেয়ারপারসনের উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়া প্রয়োজন বলে জানান তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গত বছরের এপ্রিলে খালেদা জিয়া করোনায় আক্রান্ত হন। এরপর জুন পর্যন্ত খালেদা জিয়াকে পাঁচ দফা বেসরকারি হাসপাতাল এভারকেয়ারে ভর্তি করা হয়।
টানা দুই সপ্তাহ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সবশেষ ২৪ জুন বাসায় ফেরেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। ১০ জুন গভীর রাতে হৃদরোগের সমস্যা দেখা দিলে তাকে এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। এনজিওগ্রাম করে তার হৃদযন্ত্রে একটি রিং পরানো হয়। চিকিৎসকরা তখন তার হৃদযন্ত্রে আরও দুটি ব্লক ধরা পড়ার কথাও জানিয়েছিলেন।
এর আগে ৬ এপ্রিল নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য তাকে একই হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। ৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা জটিলতায় ভুগছেন।
খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় দণ্ডিত হয়ে ২০১৮ সালে কারাগারে গিয়েছিলেন। দেশে করোনা মহামারি শুরুর পর পরিবারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি দেয় সরকার। এরপর কয়েক দফা তার মুক্তির মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে।
Array