ঢাকায় ৫ থেকে ১১ বছর বয়সি শিশুদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়েছে সকাল থেকে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকার ২৮টি কেন্দ্রে এই কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা দক্ষিণ সিটির ১৩টি কেন্দ্রে এবং ঢাকা উত্তর সিটির ১৫টি কেন্দ্রে করোনার টিকা দেওয়া হবে।
৫-১১ বছর বয়সি শিশুদের বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের টিকা দেওয়া হচ্ছে।
বুধবার ঢাকা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলেয়া ফেরদৌসী শিখা সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৫ আগস্ট সকাল ৯টা থেকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) ১৫টি কেন্দ্রে এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ছয়টি কেন্দ্রে দেওয়া হবে শিশুদের প্রথম ডোজের ভ্যাকসিন।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, শিশুদের জন্য বিশেষভাবে তৈরি ফাইজারের ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। সেই ভ্যাকসিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে এনে ইতোমধ্যে সংরক্ষণ করা হয়েছে। এর আগে, ১১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) এই কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়।
ঢাকা উত্তরের কেন্দ্রগুলো হচ্ছে- আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, উত্তরা গার্লস হাই স্কুল, কুর্মিটোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফায়দাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কিশলয় বিদ্যা নিকেতন, পল্লবী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সেনপাড়া পর্বতা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজী ইউসুফ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আমতলী স্টাফ ওয়েলফেয়ার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাখালী আব্দুল হামিদ দর্জি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দক্ষিণখান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ডুমনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাতারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুরের বঙ্গবন্ধু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং বটমলি হোম বালিকা বিদ্যালয়।
ঢাকা দক্ষিণের- ধানমন্ডি ১ নম্বর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ফকিরেরপুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, হাজারীবাগ বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,হাজারীবাগ বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাহুতটুলি রেঁনেসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়ারী বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, খিলগাঁও মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, নীলক্ষেত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বঙ্গভবন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজিমপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুরিটোলা মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করাতিটোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং মতিঝিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
টিকাদান লক্ষ্যমাত্রা
১. সারাদেশের প্রায় ২ কোটি ২০ লাখ ৫-১১ বছর বয়সী শিশুকে ভ্যাকসিন দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
২. ২৫ আগস্ট থেকে পরবর্তী ১৪ দিনব্যাপী ১২টি সিটি করপোরেশনের ৫৫টি জোন ও ৪৬৫ টি ওয়ার্ড এ কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
৩. প্রতিদিন ১ হাজার ৮৬০টি টিকাদান টিম কাজ করবে।
৪. ২৫ আগস্ট ১২টি সিটি করপোরেশনের ১৮৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিকাদান কার্যক্রম পরিচালিত হবে।
ভ্যাকসিনের ধরন
১. শিশুদের উপযোগী ফাইজার ভ্যাকসিন।
২. ডোজের সংখ্যা- ২
৩. ডোজের পরিমাণ ০.২ এমএল
৪. প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের ব্যবধান- ৮ সপ্তাহ বা ৫৬ দিন
টিকাদানের জন্য রেজিস্ট্রেশন
১. সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে ৫-১১ বছর বয়সসীমার শিশুদের রেজিস্ট্রেশন শুরু হয়েছে। রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে ১৭ ডিজিটের ডিজিটাল জন্ম নিবন্ধন নম্বর ব্যবহার করতে হবে।
২. যে শিশুদের জন্ম সনদপত্র নেই, তাদের অভিভাবকরা জন্ম সনদপত্র সংগ্রহ করে রেজিস্ট্রেশন করবেন।
৩. বিদেশি পাসপোর্টধারী শিশুদের সুরক্ষা ওয়েবপোর্টাল বা অ্যাপের মাধ্যমে নিবন্ধিত হওয়ার পূর্বে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নির্ধারিত ‘এক্সেল ছকে’ তথ্য দিতে করতে হবে।
কীভাবে ভ্যাকসিন পাবে
কোভিড-১৯ টিকা রেজিস্ট্রেশন কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে নিজ নিজ স্কুলে ও পরবর্তীতে কমিউনিটি পর্যায়ে (স্কুল বহির্ভূত শিশু) নিকটস্থ কেন্দ্র থেকে ভ্যাকসিন নিতে পারবে।
Array