আজকালেরবার্তা অর্ণব আল আমিন, বাসাইল, টাঙ্গাইলঃ টাঙ্গাইলের বাসাইলে যুবলীগ কর্মী প্রিন্স মাহমুদের উপর হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং মামলার আসামী কাউন্সিলরের মিথ্যা ভিত্তিহীন সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২০ আগস্ট) দুপুরে টাঙ্গাইল প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু অডিটরিয়ামে ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভোক্তভোগী পরিবারের সদস্য আসাদুজ্জামান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। এ সময় তিনি বলেন, আমার ভাতিজা প্রিন্স মাহমুদ বাসাইল উপজেলা যুবলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। যুবলীগের আগামী কাউন্সিলে আমার ভাতিজা সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী। সেই সাথে এলাকাবাসীর অনুরোধে আগামী পৌর নির্বাচনে ৬ নং ওয়ার্ডের একজন কাউন্সিলর প্রার্থী। বাসাইল দক্ষিন পাড়া ৬নং ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর শাহ আলম ভেবল ও তার ছেলে শাওন এবং তাদের অনুসারীরা আমার ভাতিজা প্রিন্স মাহমুদের জনপ্রিয়তা ঈষান্বিত হয়ে নানা ধরনের ষড়যন্ত্র করে আসছে। এছাড়াও আমার ভাইয়ের সাথে কাউন্সিলরের জায়গা জমি নিয়ে বিরোধ চলছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২৫ জুলাই বাসাইল উপজেলার ফুলকি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্মেলন শেষে প্রাইভেটকার যোগে বাড়ি ফেরার পথে নর্থখোলা সেতুর ঢালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে আমার ভাতিজার গাড়ি গতিরোধ করে। এ সময় আমার ভাতিজা প্রিন্স মাহমুদ, আমার ভাই তোফায়েল হোসেন বেনু ও প্রিন্সের এক বন্ধু বাসাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক ফরিদ মিয়া গাড়ির ভিতরে ছিল। এ সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে আমার ভাতিজা প্রিন্সকে হত্যার উদ্দেশ্যে লাঠি, লোহার রড, চাপাতি ও এসএস পাইপের মাথায় পিনিয়াম দ্বারা সংযুক্ত দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গাড়ির গ্লাস ও গাড়িতে ব্যাপক ক্ষতি সাধন করে। কাউন্সিলর শাহ আলম ভেবল এর নির্দেশে তার ছেলে শাওনসহ ৭জন ও অজ্ঞাতনামা আসামীরা এ হামলা করে। পরে আমার ভাতিজা প্রিন্সকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি কোপাতে থাকে। এতে সে মারাত্মক আহত হয়।
এ ঘটনায় আমার ভাই তোফায়েল হোসেন বেনু ও প্রিন্সের বন্ধু ফরিদ মিয়াকেও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে গুরুত্ব রক্তাক্ত জখম করে। পরে আমার ভাই ও ভাতিজার ডাক চিৎকারে আশেপাশের মানুষ এগিয়ে এলে আসামী শাওনসহ অন্যান্যরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। আসামীরা চলে যাওয়ার সময় মারুফ হোসেন তরুর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি ঘটনাস্থলে পড়ে যায়। পরে ওই এলাকার মানুষ আমার ভাই, ভাতিজা ও তার বন্ধুকে উদ্ধার করে প্রথমে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে তাদের অবস্থা অবনতি হলে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে। এ বিষয়ে আমার ভাই তোফায়েল হোসেন বেনু বাদী হয়ে ৭ জনসহ ৩/৪জন অজ্ঞাত নামা আসামী করে বাসাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বাসাইল উপজেলা প্রেসক্লাবে মামলার ২নং আসামী ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শাহ আলম ভেবল ও তার ছেলেসহ সহযোগীদের নিয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করার অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি আমার ভাই, ভাতিজাকে মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে উল্লেখ করেছেন। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমার ভাই তোফায়েল হোসেন বাসাইল থানা আওয়ামী লীগের একজন সদস্য। তিনি দীর্ঘ বছর ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আসামীরা তাকে ও তার পরিবারের লোকজনদের হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এইসব মিথ্যা ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আমার পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আব্দুল আজিজকে ভূয়া মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া আমার বোনদের সর্ম্পকে কুরুচিপূর্ন ও অশালীন মন্তব্য করেছেন। আমি তার এই বক্তব্যেও তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা এ বিষয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
Array